রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান, সুস্থ থাকুন
একবার তিন বন্ধু রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। হাঁটতে হাঁটতে তাদের খুব ক্ষিদে
পেল। তো তারা কি করলেন রাস্তার পাশে একটা হোটেলে খাবার খেতে ঢুকলেন। প্রচুর ক্ষিদে
পেয়েছিল, তারা সবাই বেশ তৃপ্তি করে খেলেন। খেয়েদেয়ে যে যার বাসায় চলে গেলেন।
বাসায় ফিরেই একজন বেশ অসুস্থ হয়ে গেলেন। তার পেট ব্যাথা শুরু হল। একটু পর পর
টয়লেটে যাচ্ছেন। শরীর দুর্বল হতে শুরু করল। বাধ্য হয়ে তিনি ওরস্যালাইন খাওয়া শুরু
করলেন।
এর মাঝেই তার হঠাৎ চিন্তা হল আচ্ছা, আমার যে খারাপ অবস্থা, বাকি দুই বন্ধু না
জানি কেমন আছে।
একটু পরেই তিনি একজনকে ফোন দিলেন। ফোন দিয়ে শুনলেন যে না, সেই বন্ধুর কিছুই
হয়নি। সে ভালোই আছে।
এর পরে দ্বিতীয় বন্ধুকে ফোন দিলেন। সে ও জানালো যে, সে ও ভালো আছে।
দেখেন, একই খাবার তিনজনেই খেল। একজন অসুস্থ হল, কিন্তু বাকি দুজনের কিছুই হল না। কারণ টা কী?
কারণ টা হল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। একই খাবার খেয়ে যিনি অসুস্থ হয়েছেন, তার
ইমিউন সিস্টেম কম কাজ করেছে। আর যে দুজন অসুস্থ হননি তাদের ইমিউন সিস্টেম জীবাণুর
সাথে যুদ্ধ করে তাদেরকে সুস্থ রাখতে পেরেছে।
আসলে প্রতি মুহূর্তে আমাদের শরীরে যে কত ধরনের জীবাণু প্রবেশ করে তার কোনো
হিসেব নেই। প্রতিদিনের খাবারে আমরা যে নিজের অজান্তেই কত জীবাণু খেয়ে ফেলি তা আমরা
বুঝতেও পারিনা। কিন্তু তাই বলে আমরা কি খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়ি? পড়ি না তো। কেন
পড়িনা? কারণ আমাদের দেহের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদেরকে জীবাণুর সাথে
যুদ্ধে টিকিয়ে রাখে।
আমাদের সৃষ্টিকর্তা খুব যত্ন নিয়ে, মমতার সাথে আমাদের দেহটাকে সৃষ্টি করেছেন।
দেহটাকে শুধু সৃষ্টি করেই ছেড়ে দেননি, এর মধ্যে একটা সিকিউরিটি সিস্টেমও গড়ে
দিয়েছেন।
আমাদের রক্তের মধ্যে তিন ধরনের কোষ থাকে। এদের মধ্যে লোহিত কণিকা অক্সিজেন এবং
কার্বন ডাই অক্সাইড পরিবহন করে। অনুচক্রিকা রক্ত জমাট বাধতে সহায়তা করে। আর
শ্বেতকণিকা দেহের রোগ প্রতিরক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা করে।
দেখেন আমাদের যে ইমিউন সিস্টেম, এটা কিন্তু কাজ করে অটোমেটিক ভাবে। একটা
উদাহারণ দেই, মনে করেন একজনের হাত সামান্য একটু কেটে গেল। শরীরের কোনো জায়গায় কেটে
গেলে আমরা কি করি? স্যাভলন বা ডেটল লাগাই। হাতের কাছে এগুলো কিছু না থাকলে কি করি?
কাটা জায়গাটায় সামান্য থুথু লাগিয়ে দেই। একটু পরে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়। এই যে
রক্ত পড়াটা বন্ধ হল, স্যাভলন বা ডেটল কি রক্ত পড়া বন্ধ করে? না, রক্ত পড়াটা বন্ধ
করে আমাদের রক্তেরই এক ধরনের কোষ। সেটার নাম হল অনুচক্রিকা।
আর শরীরের কোনো জায়গা কেটে গেলে কাটা জায়গা দিয়ে অনেক জীবাণু প্রবেশ করে। তখন
শ্বেতকণিকা ছুটে গিয়ে সেগুলোকে ধরে ফেলে। অনেক সময় আমরা দেখি যে আমাদের শরীরে
ফোঁড়া হয়, কখনও কখনও সেখান থেকে সাদা পুঁজ বের হয়। এই পুঁজ কিন্তু আসলে আমাদের
শরীরের মৃত নিউট্রোফিল। প্রতিদিন আমাদেরকে সুস্থ রাখার জন্য শত সহস্র নিউট্রোফিল অকাতরে
নিজের জীবন বিলিয়ে দিচ্ছে আমরা হয়তো জানিও না।
আমাদের শরীরের এত কার্যকরী রোগ প্রতিরক্ষা বাহিনী থাকার পরেও অধিকাংশ মানুষের
ধারণা বড় বড় ডাক্তার, দামি ওষুধ আর ফাইভস্টার হাসপাতাল ছাড়া মনে হয় সুস্থ থাকা যায়
না।
আরে এগুলো তো শুধু রোগ নিরাময়ে সহায়ক শক্তি। আসলে তো সুস্থ থাকার মূল দায়িত্ব
আমাদের। আমরাই যদি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে পারি তাহলে সবসময়
সুস্থ থাকতে পারব।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুব দামি কিছুর প্রয়োজন নেই। সামান্য কয়েকটা জিনিস
ব্যবহার করেই কিন্তু আপনি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে ফেলতে পারেন।
এদের মধ্যে একটা হল রসুন। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে রসুনকে বলা হয় ইমিউনিটি
বুস্টিং সুপারস্টার, অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধের মহাতারকা। আজ থেকে তিন হাজার বছর আগে গ্রীক চিকিৎসক
হিপোক্রেটাস তার রোগীদেরকে সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন একটা করে রসুন খেতে বলতেন।
একটা গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত রসুন খেলে ঠান্ডায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ৬৩%
পর্যন্ত কমে যায়।
তবে রসুনের উপকার পেতে হলে রসুন খেতে হবে কাঁচা। কারণ রান্না করলে বা শুকালে রসুনের যে সালফার এনজাইম, সেটা কমে যায়। রসুনের এই যে ঝাঁঝ, এটাই কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে।
আসলে চিন্তা করে দেখুন তো, মনে করুন আপনার জ্বর হয়েছে। আপনি যদি প্যারাসিটামল ট্যাবলেট তরকারীর ঝোলের সাথে রান্না করে খান তাহলে কি কাজ হবে?
অবশ্য রসুনের ঝাঁঝের জন্য, কড়া গন্ধের জন্য অনেকেই কাঁচা রসুন খেতে পারেন না। এক্ষেত্রে
একটা সমাধান হল ভাত বা রুটির সাথে রসুন খাওয়া। আপনি এক লোকমা ভাত বা এক টুকরা
রুটির সাথে অর্ধেক কোয়া রসুন সহজেই চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে পারবেন। খেয়ে দাঁত ব্রাশ করে ফেলতে পারেন। এতে আপনার ঝাঁঝ বা
গন্ধের কোনো সমস্যা হবে না। আবার আপনি এর উপকারটাও পুরোপুরি পাবেন।
এর পরে আছে কালোজিরা। আসলে এটাকে কালোজিরা না বলে বলা উচিত ভালোজিরা। জিনিসটা
এত ভাল যে হাদীসে এটাকে মৃত্যু ছাড়া সব রোগের ওষুধ বলা হয়েছে। মাথাব্যাথা,
দাঁতব্যাথা থেকে শুরু করে উচ্চ রক্তচাপ এবং ফুসফুসের যে কোনো সংক্রমণে কালোজিরা
কিন্তু খুব উপকারে আসে। এজন্য একে বলা হয় হাব্বাত উল বারাকা বা আশীর্বাদের বীজ। নিয়মিতভাবে
কালোজিরা খাওয়া শুরু করার পর থেকে আমি একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছি যে, প্রচন্ড
গরমের মধ্যেও শরীরে কোনো জ্বালাপোড়া করেনা। হয়তো বা প্রচন্ড গরমের কারণে ঘামে জামা
ভিজে গেছে কিন্তু শরীরে কোনো জ্বালাপোড়া নেই।
এছাড়াও রাতে যখন বেশি খিদে পায় তখন একটু
কালোজিরা খেয়ে নিলে খিদের মাত্রা কমে যায়। পেট খালি রেখে ঘুমানো সম্ভব হয়। এতে
ঘুম ভাল হয় এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
প্রতিদিন আপনি এক চিমটি কালোজিরা সামনের দাঁত দিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন। সামনের
দাঁত দিয়ে চিবানোর কথা বলছি দুটো কারণে। প্রথমত, নাক ক্লিয়ার হয়ে যাবে। দ্বিতীয়ত, আপনার
জিভের ছাল উঠে গিয়ে জিভের স্বাদ নষ্ট হবে না।
আর কালোজিরা সবচেয়ে ভাল কাজ করে মধুর সাথে। কালোজিরার যে ওষুধি উপাদানগুলো আছে
সেগুলো মধুর এনজাইমগুলোর সাথে মিশে আরও কার্যকরী হয়ে ওঠে। আপনি চাইলে কালোজিরা
মধুর সাথে ব্লেন্ড করে কাঁচের বৈয়মে করে রেখে দিতে পারেন। আমাদের বাসায় আমরা করে
দেখেছি। দেড় দুই মাসেও নষ্ট হয়না।
আর মধু খাবেন। কারণ মধুতে যে মানুষের জন্যে নিরাময় আছে সেটা পবিত্র কোরআনের
সুরা আন নহলের ৬৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন।
দেখেন আমরা বাঙালীরা কত ভাগ্যবান। ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাসে যখন শীতকাল তখন
সরিষা ফুলের মধু পাওয়া যায়। সরিষা ফুলের মধু কফ, কাশি, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানির জন্য
খুব ভাল।
এর পরে ফেব্রুয়ারী মাসের দিকে পাওয়া যায় ধনিয়া ফুলের মধু যেটা পেটের জন্য খুব
ভাল কাজ করে। যাদের হজমের সমস্যা বা ফ্যাটি লিভার তাদের জন্যে ধনিয়ার মধু খুব
কার্যকর।
আর মার্চ-এপ্রিলে পাওয়া যায় লিচুর মধু। এটা জ্বর-ইনফেকশনের জন্য ভাল।
শরীরে কোথাও ফোঁড়া হলে সেখানে মধু লাগিয়ে দেবেন। দেখবেন দ্রুত ভাল হয়ে যাবে।
অতএব বাড়িতে সবসময় মধু রাখবেন। নিয়মিতভাবে এক চামচ মধু খাবেন।
আর ঘরে দই পেতে টকদই খাবেন। যদি সম্ভব হয় আজকে
বাসায় যাবার সময় একটা কাপ দই আর এক লিটার দুধ কিনে নিয়ে যাবেন। প্রথম দিনই শুধু কাপ দইটা লাগবে দইয়ের
বীজের জন্যে। এর পর থেকে ঘরে পাতা দই থেকেই একটু দই রেখে দেবেন। সেটা
দিয়েই পরের দিন আবার দই পাতবেন।
দই পাতার একটা ভাল নিয়ম বলে
দেই।
এক লিটার দুধকে জ্বাল দিয়ে
ঘন করে আধা লিটার বানাবেন। এর পরে ঠান্ডা হলে তার মধ্যে দইয়ের বীজ মিশিয়ে ৫-৬
ঘন্টা রেখে দেবেন। দই হয়ে গেলে বাটিটা ফ্রিজে রাখবেন।
এভাবে দুধ ঘন করে দই বানালে
দই বেশি টক হবেনা আর আপনাকে চিনিও মেশাতে হবেনা। এই দই পাকস্থলীর ক্ষতিকর
ব্যাক্টেরিয়ার স্তর সরিয়ে সেখানে উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে।
অনেকেই জানেন না, আমাদের যে
ইমিউনিটি সিস্টেম সেটার শুরু কিন্তু হয় পেট থেকে।
অতএব, ইমিউনিটি লেভেল বাড়াতে
দই খাবেন সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চারদিন।
দই পাতার সময় দুধের সর আলাদা
করে দই পাতবেন না বরং দই পাতার সময় সরটাকে দুধের সাথে মিশিয়ে দেবেন।
এভাবে দই পাতলে সেটা
হাঁপানি, কফ এবং কাশিরও উপশম করবে। তবে সর সরিয়ে ফেলে দই পাতলে সেটার কার্যক্রম
আবার অন্য ধরনের হয়।
আর যাদের কিডনীর সমস্যা তারা
দই খাবার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
দই আমরা সাধারণত দাওয়াতে বা উৎসবে খেয়ে থাকি। কিন্তু নিয়মিত দই খেয়ে যে
অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়, হজমশক্তি বৃদ্ধি
করা যায় এটা অনেকেই জানেন না।
অতএব সমস্যা না থাকলে নিয়মিত দই খাবেন। সপ্তাহে অন্তত তিন-চারদিন খাবেন।
প্রতিবারে ১০০ গ্রাম (ছোট চায়ের কাপের এক কাপ) খাওয়াই যথেষ্ট।
এছাড়াও আদা কুচি, লেবু এবং দেশী ফল নিয়মিত খাবেন।
বিদেশী ফলের পরিবর্তে দেশী ফলের কথা বলছি কারণ আমাদের দেশে যে সিজনে যে ফল
পাওয়া যায় তার মধ্যে সেই সিজনের রোগের প্রতিষেধক থাকে। যেমন দেখেন, শীতকাল আসার
আগেই বেশ কয়েক মাস বাজারে অ্যাভেইলেবল জাম্বুরা পাওয়া যায়। এই সময়টাতে যারা
নিয়মিত জাম্বুরা খান তাদের কিন্তু ডিসেম্বর-জানুয়ারীর শীতের মধ্যে ফ্লু-তে
আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কম।
আর প্রতিদিন অন্তত এক বেলা ভাতের সাথে এক টুকরা লেবু খাবেন। এতে আপনার ভিটামিন
সি এর চাহিদা পূরণ হবে। তবে এটা খেতে হবে প্রতিদিন। কারণ ভিটামিন সি শরীরে জমা
থাকেনা।
নিয়মিত রোদে দাড়াবেন। তাহলে আপনাকে পয়সা খরচ করে ভিটামিন ডি ট্যাবলেট খেতে
হবেনা। প্রতিদিন ১০-২০ মিনিট রোদে দাঁড়ানোই যথেষ্ট।
আর বুক ফুলিয়ে দম নেবেন। আরে সারাদিনে তো ২০ হাজার বার এমনিতেই দম নিচ্ছেন।
নিজে ২০ বার বুক ফুলিয়ে দম নিয়ে দেখেন না। কী হবে? আপনার প্রাণশক্তি অনেক বেড়ে
যাবে। সারাদিন দাঁড়িয়ে কাজ করলেও আপনি ক্লান্ত হবেন না।
এর পর ব্যায়াম। নিয়মিত ব্যায়াম করবেন। আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ এই একটা
ক্ষেত্রে খুব আলসেমি করে। নিয়মিত টিভি দেখতে পারে। ইন্টারনেট চালাতে পারে। কিন্তু
নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেনা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কি হয়? খুব আগ্রহ নিয়ে জিমে ভর্তি
হয়। কয়েকদিন বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্ট নিয়ে খুব ব্যায়াম করে। এর পরে আবার ছেড়ে দেয়।
অথচ দেখেন কোয়ান্টাম ব্যায়াম। খুব সহজ। আপনি আপনার বাসার বেডরুমেই ব্যায়াম করতে
পারবেন। কোনো দামি ইন্সট্রুমেন্ট লাগবে না। মাত্র ৬০০ টাকা দামের একটা ইয়োগা ম্যাটই
যথেষ্ট। প্রতিদিন মাত্র ১৫-২০ মিনিট ব্যায়াম করেই নিজেকে ফিট রাখতে পারেন।
আর নিয়মিত দু-বেলা মেডিটেশন করবেন। নিয়মিত মেডিটেশন ইমিউন সিস্টেমকে চাঙ্গা
রাখে। মেডিটেশনের মধ্যে আমরা একটা কথা শুনি যে, মনের বাড়ি চেতনার এক শক্তিশালী
স্তর। এই স্তরে মন দেহের প্রতিরক্ষা ও নিরাময় ব্যবস্থাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রোগ
মুক্তির কাজে নিয়োজিত করে। এই কথাটা কিন্তু মন গড়া কথা না।
একটা গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত মেডিটেশন করেন তারা অন্যদের তূলনায় ৭৫%
কম অসুস্থ হন। অর্থাৎ অন্যেরা চারবার অসুস্থ হলে তিনি অসুস্থ হবেন এক বার।
আসলে এটা কেন হয়? আমরা যখন মেডিটেশন করি তখন আমাদের শরীরে কর্টিসোল হরমোনের
মাত্রা কমে। এই কর্টিসোল হরমোনটা হচ্ছে একটা স্ট্রেস হরমোন। যেটা আমাদের শরীরের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। নিয়মিত মেডিটেশনের মাধ্যমে আমরা যখন এই
হরমোনের মাত্রাটাকে কমিয়ে দেই তখন অটোমেটিকভাবে আমাদের ইমিউন সিস্টেমের লেভেলটা
বেড়ে যায়। অতএব নিয়মিত মেডিটেশন করবেন। এতে আপনার ঘুমও ভাল হবে।
আর নিজের খাদ্য তালিকা থেকে চিনিটা বাদ দেবেন। চিনি কি করে জানেন? আমাদের
রক্তের যে শ্বেতকণিকা, যেটা জীবাণুর সাথে লড়াই করে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে। চিনি
সেই শ্বেতকণিকার কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করে। আপনার জীবন থেকে এই একটা মিষ্টি দূর
করে দেখেন। বাকি সবদিক মিষ্টি হয়ে যাবে।
আর চিনি বাদ দিলে বোনাস হিসেবে যে উপকারটা পাবেন সেটা হল আপনার খাই খাই ভাবটা
কমে যাবে। আপনি সহজে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন। অতএব চিনি খাওয়া বাদ দেবেন।
দেখবেন আপনার ফিটনেস অনেক বেড়ে গেছে।
আসলে এতক্ষণ যে কথাগুলো বললাম, এগুলো যদি আমরা একটু নিয়মিতভাবে মেনে চলতে পারি তাহলে
কিন্তু আমাদের শরীরটা অনেক সুস্থ থাকবে। তাই আসুন আমরা এগুলো মেনে চলার চেষ্টা
করি। ভালো থাকি, প্রাণবন্ত থাকি, সুস্থ
জীবন যাপন করি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান, সুস্থ থাকুন
- Product Code: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান, সুস্থ থাকুন
- Availability: Out Of Stock
-
Tk. 0
- Ex Tax: Tk. 0